মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৩

শিকাগো থেকে সাভার... অধিকার নিশ্চিত করাই প্রতিকারের একমাত্র উপায়

মাউন উল করিম : আজ মহান মে দিবস, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম আর সংহতির দিন। মেহনতি মানুষের ঘাম, রক্ত ও শ্রম অধিকারের বৈপ্লবিক অনুভব সঞ্চারিত হওয়ার দিন।  সভ্যতার সুচনা শ্রমের ভিত্তিতে হলেও একটা সময় ছিল যখন শ্রমিকের মর্যাদা বলে কিছু ছিল না৤ শ্রমিকদের নাম মাত্র মুজুরি দিয়ে মালিকরা ইচ্ছামত কাজ করাতো। তাদের কোন নির্দিষ্ট কর্ম ঘণ্টা ছিল না। এর প্রতিবাদ করলে মালিকরা চালাতো নির্যাতন। শ্রমিকদের ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজে লাগিয়ে মালিকরা টাকার পাহাড় গড়ে তোলে। তখন শ্রমিকরা সংগঠিত ছিল না। বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করে তারা ক্ষতি ও নির্যাতনের শিকার হতো। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার লেবার ফেডারশেন ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিকে জোরদার করে তোলে।

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

তুমি এসো গগন পূর্ণ করি : বিশেষ সম্পাদকীয়

মাউন উল করিম : বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরের শুরুর দিন, হালখাতার দিন। বৈশাখের প্রথম দিন থেকে বাঙালি-জীবনে নতুন বছরের সূচনা। নতুন জীবনের গোড়াপত্তন। বৈশাখের সঙ্গে বাঙালি-জীবনের একটা অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। নবান্নের পর মানুষ এ মাসে যেন কর্মক্লান্ত জীবনের মাঝে অনাবিল স্বস্তি ফিরে পায়। বছরের অন্যান্য মাসে যেন সারা দিনমান ক্ষেত্রে খামারে কাজ করতে হয়, বৈশাখে এসে জীবনের ধারা বদলে যায়। এর মাঝে বাংলাদেশের মানুষ খুঁজে পায় এক নতুন আস্বাদ, নতুন করে জীবন চলার পথের উপাদান, প্রেরণা আর উদ্দীপনা। তাই বাঙালি জীবনে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম।

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৩

আবার এলো ২৫ মার্চ

মাউন উল করিম : দিনটি ছিল বৃহষ্পতিবার৤ প্রায় মধ্যরাতে গভীর ঘুমে ছিল সেদিন ঢাকা শহর৤ হঠাৎ করেই মৃত্যু যেন রাতের কালোর চাইতেও বেশী কালো করে দিয়েছিল সবকিছু সেই রাতে৤ পাকি সামরিক জান্তার সেনানিবাসের ট্যাংকগুলো মৃত্যুদুত হয়ে নেমে আসে রাস্তায়৤ সেই একাত্তরের বিভীষিকাময় কালরাতের স্মৃতি জাগানিয়া ২৫ মার্চ আজ। সেই সময়টিতে বাঙালির হৃদয় জুড়ে ছিল একটি পতাকার রঙ... স্বপ্নচেতনা জুড়ে ছিল একটি মুক্ত ভূখন্ডের আশা। সারা দেশ ছিল উত্তাল আন্দোলনে। 

রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৩

জাহাজ ভাঙা শিল্প : একটি সিলভার লাইনিং

মাউন উল করিম : একটা সময় ছিল যখন সমুদ্রপথে চলাচলের ক্ষেত্রে কাঠের তৈরী জাহাজ ব্যবহার হতো। সময়ের বিবর্তনে এইসব কাঠের জাহাজগুলো বিলুপ্ত হয়ে তার জায়গা দখল করলো মাইল্ড স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল সহ অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণে নির্মিত দানবাকৃতির জাহাজ। আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘লয়েডস শিপিং রেজিষ্টার’ এর হিসেব মতে যুদ্ধ জাহাজ বাদে বর্তমানে সারাবিশ্বে কন্টেইনার, কার্গোবাহি ট্যাঙ্কার, ক্রুজ লাইনার, ফেরী ইত্যাদি সহ সমূদ্রগামী জাহাজ রয়েছে প্রায় ৫০হাজার। মিশ্রধাতু নির্মিত একটি জাহাজ চলাচলের উপযোগি থাকে গড়ে ২৫ বছর। ২৫ বছরের আয়ূস্কাল শেষে চলাচলের অযোগ্য হয়ে স্ক্র্যাপ অন্তর্ভূক্ত হয় বছরে গড়ে অন্তত ৭০০ টি জাহাজ। আধুনিক বিশ্বে জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিত্যক্ত জাহাজের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এই মিশ্রধাতুর অতিকায় দানবগুলোকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব না। আবার স্থানাভাবে জমিয়ে রাখাও অসম্ভব। এসব কারনে জাহাজগুলোর বিভিন্ন অংশ ও লৌহজাত পন্যগুলো সংগ্রহ করে তা অন্য কাজে ব্যবহারের চিন্তা থেকেই আধুনিক জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্ম।